আজ
|| ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় কসবা সীমান্তে আটক যুগ্ম সচিব
প্রকাশের তারিখঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৪
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে আটক হয়েছেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের পুটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, একেএমজি কিবরিয়া মজুমদার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারকাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন আহমদ মজুমদারের ছেলে। তিনি ঢাকার বাসাবো থানার সবুজবাগের দক্ষিণগাঁও এলাকায় থাকতেন। তিনি জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধীনে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কসবা উপজেলা সীমান্তের পুটিয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন একেএমজি কিবরিয়া মজুমদার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) আওতাধীন কসবা সালদা নদীর বিওপির টহল দল বিষয়টি জানতে পারে। বিজিবি সদস্যরা তাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক বর্ডার লাইন বর্ডার পিলার ২০৫০/৮ এর ৫০ গজ থেকে আটক করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, জাকারিয়া মজুমদার জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ভারতে প্রবেশের জন্য কসবা সীমান্তে যান।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএম জাবের বিন জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাকে কসবা থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দালাল চক্রের সদস্য মো. খায়রুল বাসার ও ভারতীয় দালাল চক্রের সদস্য মো. এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার নাদিম মিয়ার সহায়তায় ভারতে পালাতে কসবা সীমান্তে আসেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক প্রথম আলো</em>কে বলেন, "আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ওই কর্মকর্তাকে আটকের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্র পাইনি। বিজিবি এখনও আটক ব্যক্তিকে থানায় হস্তান্তর করেনি।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংসদ সচিবালয়ে আত্তীকৃত ১২ কর্মকর্তাকে ২৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ দায়িত্বে (ওএসডি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একেএমজি কিবরিয়া মজুমদারও রয়েছেন। ওই কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো আইনের তোয়াক্কা করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
Copyright © 2025 Anti Corruption news agency. All rights reserved.